ব্যাপক সহিংসতায় উত্তাপ ছড়ানো পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনে জিতে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। সাড়ে দশ কোটিরও বেশি ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা সাবেক তারকা ক্রিকেটার নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগকে হারাবেন বলে আশা করছেন। আর এটি করতে পারলে সার্থক হবে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন।
ইমরান খানের সময় এসেছে?
নব্বই এর দশকের শেষ দিকে এসে রাজনীতিতে নেমেছিলেন খান। তার আগেই ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটির বড় তারকায় পরিণত হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু রাজনীতিতে নামার অনেক পরে ২০১৩ সালে এসে রাজনীতিতে সত্যিকার অর্থেই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন ইমরান খান। বিশ্লেষকদের ধারণা, এবারের নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদটির খুবই কাছাকাছি আছেন।
নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ, ইমরান খানের পিটিআই ও বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টোর পিপিপি’র মধ্যে।
৬৮ বছর বয়সী নওয়াজ শরীফ তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েও কোনবার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখন তিনি ও তার কন্যা আটক আছেন পাকিস্তানে। গত বছর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ক্ষমতা হারান শরীফ। তার ভাই পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর শাহবাজ শরীফ এখন দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন।
আর ৬৫ বছর বয়সী ইমরান খানের দল এবার বেশ ভালো অবস্থানে আছেন মনে হচ্ছে বিশ্লেষকদের কাছে। বিবিসিকে খান বলেছেন তার প্রতিপক্ষরা নির্বাচনে হারবে তাদের অতীত রেকর্ডের কারণে। তবে নির্বাচন জিততে হলে তাকে নওয়াজ শরীফের পাঞ্জাবে বেশ ভালো করতে হবে।
তাছাড়া, নির্বাচনের আগে থেকেই পাকিস্তানের রাজনীতির প্রধান ‘খেলোয়াড়’ সেনাবাহিনী সুনজর তার দিকে আছে বলেই মনে হচ্ছে অনেকের কাছে। সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে, তার জয়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচনের আরেক বড় দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি(পিপিপি) নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।